যদি হারাম খাবার খাওয়ার হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট ইসলাম দৃষ্টিতে কি ঠিক ? স্বামী বিদেশ বউকে সন্দেহ করে? বউ পর্দাশীল হয়ে থাকে। ইসলামী দৃষ্টিতে সন্দেহ করা কি ঠিক?

 আসসালামু আলাইকুম


(1) হোটেল রেস্টুরেন্টের মাংস জাতীয় খাবার খেতে গেলে সন্দেহ হয়? এটা হালাল নাকি হারাম যদি অজান্তে হারাম খেয়ে ফেলি তাহলে আমাদের গুনা হবে কিনা?


 হোটেলে গোশত রান্না হয় এগুলো হালাল নাকি হারাম যদি মুসলমান হয় মুসলমান সমাজে যে রকম হালাল হওয়াটাই স্বাভাবিক বিদায় শিশুদের উপর ভিত্তি করে খেলে আপনার হারাম হবে না। যদি হোটেলওয়ালা আপনাকে হারাম খাওয়া ইচ্ছাকৃতভাবে সে আল্লার কাছে গুনাগার হবে আপনি শুধু আমার সাথে খেয়েছেন হারাম হবে না। 

রেস্টুরেন্টে খাওয়া কি হালাল?

কিন্তু মুসলিম প্রধান এলাকা হয় এবং প্রবল সম্ভাবনা হয় যেন এখানে হারাম বস্তু আমাকে খাওয়ায় দেওয়া হতে পারে। এবং জবাই করা মুশরিক হতে পারে তাহলে তাঁর জবাই করা পশুর খাওয়া যাবে না। সেই রকম যদি হয় তাহলে সেই জায়গার সন্দেহপূর্ণ বিষয়ে বর্জন করবেন অনেকে বিভিন্ন দেশে চলে যায় সেখানেও মুসলিম প্রধান দেশ সব মুসলমানের সংখ্যা খুবই কম সেখানে অমুসলিমদের মালিকের হোটেলে খেলে তারা হালাল হারাম মেনে করে কি করেন আপনি খেলেন না তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার এবাউট করাটাই উচিত  এবং সম্পন্ন জিনিসটা আপনি খাবেন না। কিন্তু অনেক দেশে হালাল সার্টিফাই করার মত অনেকগুলো কোম্পানি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠা আলেমদের তত্ত্বাবধানে তারা সার্টিফিকেট দেন। এবং সে সম্পর্কে লেখা থাকে সেটা যদি বিশ্বাসযোগ্য হয়নি যোগ্য হয় তার উপর নির্ভর করে আপনি খেতে পারেন। 

হালাল রেস্তোরাঁয় মুসলিমরা কি খেতে পারবে?

তবে মুসলমান সমাজে যেমন আমাদের দেশে হোটেলওয়ালা যদি আপনাকে হারাম খাওয়া মরা গরু, মরা ছাগলের কেনে যদি খাওয়াইয়া দেয়। তাহলে সে চিটারি করেছে সে গুনাগার হবে। আপনি যে মুসলমান হোটেল হালাল হবে সেই হিসেবে আপনি খেলে আপনার গুনা হবে না।




স্বামী বিদেশ বউকে সন্দেহ করে? বউ পর্দাশীল হয়ে থাকে। ইসলামী দৃষ্টিতে সন্দেহ করা কি ঠিক?

(2) প্রশ্ন হল আমার স্বামী প্রবাসে থাকে আমি প্রতিনিয়ত সে আমাকে সন্দেহ করে, সন্দেহ কারনে সে আমাকে অনেক কিছু বলতেই থাকে আমার সন্দেহ দূর করার জন্য আমি কোরআন স্পর্শ করে ভিডিও কলে বলেছি তাতে সন্দেহ দূর করতে পারিনাই। এরপরে নফল রোজা অবস্থায় তিনবার আল্লাহর নাম নিয়ে শপথ করেছি তাতেও সে আমাকে বিশ্বাস করে নাই? আমি বলেছি আমি যদি হারাম কাজ বা বাজে দোষ আমাকে দিচ্ছেন আমি যদি সে দোষে দোষী হয়, তাহলে আমার সমস্ত নেক আমল তোমাকে দিয়ে দিব এবং তোমার গুনা গুলো আমি নিয়ে নিবো যদি, আমি নির্দোষ হই? যদি আমি নির্দেশ হই তাহলে তোমার নেক আমল গুলো আমাকে দিতে হবে? তা সত্য সে আমাকে বিশ্বাস করে না। কিয়ামতের মাঠে কী এগুলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে? আমার এখন করনীয় কি আমার স্বামী ও আমার জন্য কিছু নাসিহা প্রদান করবেন আশাকরি আপনার নাসিয়া শুনে সে ফিরে আসবে?

সন্দেহ নিয়ে ইসলামিক উক্তি


উত্তর:

 আমাদের দেশে দাম্পত্য জীবনি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির অন্যতম কারণ হলো সন্দেহ রোগ। আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমের সূরা ফজিলতে বলেছেন।


 ইমানদারগণ তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাকবে কারণ অনেক ধারণা আছে যেগুলো গুনাহের কথা এসমস্ত ধারণা মন্দ ধারণা করা যাবে অহেতুক কারো সাথে কথা বলতে দেখেছেন আপনি বললেন তুমি ওমর ছেলের সাথে কথা বলছে, না জেনেই বললেন, এটা হারাম এটা জায়েজ নাই। নবী (সাঃ) বলেছেন, তোমরা মানুষের প্রতি কু ধারণা করা থেকে বেঁচে থাকবে কারণ কুধারণার এটা হলো সবচাইতে বড় মিথ্যা কথা। এটা আমাদের অনেকের মধ্যে আছে। নবী সাল্লাহু সালাম বলেছেন। কারো কাছে কিছু নেই আপনি বলা শুরু করলেন এটা মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। বিশেষ করে আমাদের যে সমস্ত ভাইয়েরা প্রবাসে থাকেন তাদের দাম্পত্য জীবন এই সমস্ত অশান্তি করে বেশি হয়।


সন্দেহ নিয়ে ইসলামিক উক্তি

 কারণ মা এখান থেকে কান ফোড়া দেয়, আপনার সময় বোন এখান থেকে মিথ্যা কথাবলে, ভাই মিথ্যা কথা বলে আশপাশের লোকজন মিথ্যা তথ্য দেয় সে ওখান।থেকে বিভ্রান্ত হয় সেগুলো বিশ্বাস করে রাখা। মনে রাখা উচিত অনেক মেয়েদের প্রতি এদের কম অবিচার।করা হয় আল্লাহ কুরআনে কারীমে বলেছেন।  কারো চরিত্র সম্পর্কে তুমি একটা সন্দেহমূলক কথা উঠায়া দিলা এটাকে তোমরা মনে করো খুব হালকা জিনিস? ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম অথচ এটা আল্লার কাছে অনেক বড় অপরাধ বিশাল বড় অপরাধের কথা। কাবিরা গুনা অতএব তার স্বামীকে যদি এভাবে অত্যাচার করে, সে কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর কাছে আসামী হয়ে দাঁড়াবে। আল্লার ভয় করা উচিত তার কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ না থাকলে অহেতুক সন্দেহের বশে তার স্ত্রীকে কোন অপবাদ দিতে পারবেনা।


সন্দেহ রোগ থেকে মুক্তির উপায়

 কুরআনে কারীমে আপনারা জানেন একটা আয়াত নাযিল করেছেন যদি কেউ সতী নারীকে দৌষ দেয় যে তুমি আমার সাথে সম্পর্ক করো তুমি কারো সাথে হারাম রিলেশন, করো তুমি কারো সাথে দুই নম্বর সম্পর্কে আছো। এরকম যদি কোন অপবাদ দেয় জেনার অপবাদ যদি কোন মানুষদের যে কেউ এমনকি স্বামীর হক যে কেউ হোক যদি দেয় এবং সে যদি সেটা উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করতে না পারে সন্দেহাতীতভাবে কোরআন বলেছে। এই সমস্ত মিথ্যা অপবাদ কারীদেরকে 80 বেত দিতে হবে ইসলামিক ভাবে। একজন নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঠিক একই কথা কোন পুরুষের চরিত্রে কোন স্বামী সন্দেহ করে অনেক মহিলা আছে অযথাই তার স্বামীকে নিয়ে খোঁচাখুঁচি করে সন্দেহ করে। এরকম মিথ্যা অবধারিত তুমি জানাই লিপ্ত হয়েছে তাহলে সেক্ষেত্রে আসিবে আর দেয়া হবে। তাদের সাক্ষ্য আল্লাহ কবুল করবে না। আল্লাহ তাদেরকে আল্লাহ লানত বর্ষিত করবেন। দাম্পত্য জীবনের পরস্পর পরস্পরকে রকম সন্দেহ করবেন। আল্লাহকে ভয় করেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য ইবলিশ এগুলা সাপ্লাই করে আপনার ব্রেইন কে নষ্ট করে। নিজের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখবেন যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার কাছে অন্যায় কোন কিছু প্রমাণ না হবে জোরালো প্রবল কোন প্রমাণ আপনার কাছে না থাকবে আল্লাহতালা আমাদেরকে সমস্ত অন্যায় থেকে বেরিয়ে আসার তৌফিক দান করুন শুধু স্বামী-স্ত্রী না আমর অন্যের ব্যাপারে একটু কোনরকম সন্দেহের লেস পাইলেই আমরা তার গুস্টি উদ্ধার করে লেগে যায়।




রেস্টুরেন্টে খাওয়া কি হালাল

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.