আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
জান্নাতের দুয়ার
জান্নাত আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। সেই জান্নাতে প্রবেশ করার জন্যও রয়েছে দরজা। তবে এই দরজার সাথে দুনিয়ার কোনো দরজার তুলনা হয় না। এর সৌন্দর্য দুনিয়ার সমস্ত স্থাপনাকে হার মানায়। অতুলনীয় সৌন্দর্যমণ্ডিত সেই দরজা দিয়েই প্রবেশ করবে সকল জান্নাতবাসী। তারা জান্নাতের কাছে গেলে দরজা খুলে দেবেন ফেরেশতারা।
জান্নাতের আটটি দরজা
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, 'আর যারা তাদের রবকে ভয় করেছে, তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে তারা যখন সেখানে পৌঁছবে এর দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'জান্নাতে রয়েছে আটটি দরজা। তার মধ্যে একটি দরজার নাম রাইয়ান। সাওম পালনকারী ছাড়া অন্য কেউই এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
জান্নাতের দরজা কত বড় হবে
জান্নাতের দরজায় থাকবে দুইটি পাল্লা। একটি পাল্লা থেকে অপর পাল্লার দূরত্ব কতটুকু হবে, এ ব্যাপারে হাদিসে বিস্তারিত বর্ণনা এসেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'জান্নাতের এক দরজার দুই পাল্লার মধ্যবর্তী স্থানের প্রশস্ততা মক্কা এবং হিমইয়ার অথবা মক্কা ও সিরিয়ার বুসরা শহরের দূরত্বের সমান।
কী অকল্পনীয় ব্যাপার! গুগল ম্যাপটা খুলে দেখলেই জানতে পারবেন, মক্কা থেকে বুসরা শহরের দূরত্ব প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার। তার মানে জান্নাতের দুই পাল্লার মধ্যবর্তী দূরত্ব আনুমানিক পনেরো শ' কিলোমিটারের মতো!
পৃথিবীতে ঈপ্সিত কোনো জায়গায় প্রবেশ করতে মানুষ রীতিমতো প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। কে কার আগে যাবে তাই নিয়ে কত হুড়োহুড়ি। ধাক্কাধাক্কিতে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। অথচ জান্নাতে প্রবেশের সময় এসবের কিছুই হবে না। এর প্রবেশদ্বার এতই প্রকাণ্ড, এতই প্রশস্ত! আকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে প্রবেশ করতে প্রয়োজন পড়বে না তাড়াহুড়োর, হবে না কোনো ধাক্কাধাক্কি। একসাথে অগুনতি মানুষ সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। সুবহানাল্লাহ!